
আবার পাহাড়, আবার জঙ্গল, আবার চাবাগান। এবারের গন্তব্য উটি। হায়দ্রাবাদ থেকে সড়ক পরিবহনের মাধ্যমে সোজা উটি। পরিবাহক আমার একমাত্র জামাই তার অতি প্রিয় ডাস্টার (4WD) নিয়ে প্রস্তুত। যাত্রা পথ 860 কিমি।

শুরু হলো উৎরাই, 36 হেয়ার পিন ভেঙ্গে
উপরে উঠে উটি। চারিদিকের ঘন পাইন , ওক আর ঝাউএর মন মাতানো জঙ্গল উটিকে প্রকৃতি সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলেছে। এছাড়া অবশ্যই আছে থাকে থাকে সাজানো সবুজে মোড়ানো চাবাগানের পাহাড়।
প্রথম দিন দুপুরে যাওয়া হলো আভালানঞ্চ স্যাঙচুয়ারী, আভালান্ঞ্চ লেক, আম্মান মন্দির, কলিফ্লাওয়ার হিলস ইত্যাদি। গভর্নমেন্ট জীপ ভাড়া করে ভেতরে ঢুকতে হয়। স্যাঙচুয়ারী আমাদের নিরাশ করলেও কলিফ্লাওয়ার হিলস ভালো লাগলো ঠিক যেন বড় ফুলকফি দিয়ে সাজানো এক পাহাড়। লেকের সৌন্দর্য্যতা উল্লেখযোগ্য।


ভারতের ম্যাপের আকার নেওয়া এই লেকের শোভা আর তারই ধারে সবুজ চা বাগানের পাহাড় সত্যিই দর্শনীয়।ছোটবড় সব পাহাড়ের গায়ে যেন দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ রঙের গালিচা বেছান, চোখ ফেরানো দায়। এছাড়াও পাহাড়ের গায়ে সবুজে সাজানো নানারকম সব্জির শোভাও কম নয়।
পরদিন সকাল সকাল বেড়িয়ে পরলাম। উটি থেকে 25 কিমি দুরে কুন্নুরের চাবাগানের সৌন্দর্য্যতা আরও বেশিকরে মন মাতিয়ে দেয়। Pregnent lady hills, Dolphin nose point , Catherine falls, Singara Tea Estate খুবই সুন্দর দর্শনীয় স্থান। সবুজ চা বাগান আর ঘন জঙ্গলের প্রাকৃতিক শোভা বর্ননা করা বেশ কঠিন। এরপর 8000 ফুট ওপরে ডোড্ডবেটা টি ফ্যাক্টরী দর্শন।
সবুজ চা পাতা থেকে
ধাপে ধাপে কিভাবে চা তৈরি হয়ে
প্যাকেজিং ও বিক্রি এবং
এককাপ গরম চাএর আস্বাদন সবই বিরল
অভিঙ্গতা। এছাড়াও আছে হ্যান্ডমেডড চকোলেটের
বিপণী। এরপর তাড়াতাড়ি কিছু খেয়ে ছুটলাম Rose Garden (গোলাপ বাগ)। প্রায় তিন
হাজার প্রজাতির গোলাপ দিয়ে সাজানো ভারতের সর্ববৃহৎ গোলাপ বাগ। ফুলের গন্ধ চারপাশে মৌ মৌ করছে।
বেশী সময় না দিয়ে ছুটলাম
উটি লেক, কিন্তু অসময় হয়ে যাওয়ায় ভেতরে ঢোকা যায়নি।
পরদিন ফেরার পালা, অনেক কিছু না দেখা থেকে
গেল। তাই সকাল 7টার মধ্যে বেড়িয়ে
ফেরার রাস্তায় পাইন ফরেস্ট, ঘন সুউচ্চ পাইন
জঙ্গল দিয়ে আঁকাবাঁকা রাস্তা মোহময় করে তোলে। তারপর পাইকারা লেক, অনেক্ষণ সময় কাটালাম এখানে। বোটিং এর সুব্যবস্থা
আছে এখানে।
জল খাবারের পর আবার যাত্রা শুরু। মধুমালাই ও বন্দিপুর টাইগার রিজার্ভ ফরেস্টের ভেতর দিয়ে সাঁই সাঁই করে গাড়ী চেপে পৌঁছলাম ঐতিহাসিক মহীশুর প্যালেস। তাজমহলের পরেই এই প্রাসাদের খ্যাতি সারা পৃথিবীতে। যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি দেখে এবার সত্যিই ফেরার পালা। বেঙ্গালুরুর পাশ দিয়ে যখন পেরচ্ছি সময় রাত 8টা, এখনো প্রায় 9 ঘন্টা নাগাড়ে গাড়ি ছুটিয়ে হায়দ্রাবাদে বাড়িতে যখন থামলাম তখন রাত 4টা।
জল খাবারের পর আবার যাত্রা শুরু। মধুমালাই ও বন্দিপুর টাইগার রিজার্ভ ফরেস্টের ভেতর দিয়ে সাঁই সাঁই করে গাড়ী চেপে পৌঁছলাম ঐতিহাসিক মহীশুর প্যালেস। তাজমহলের পরেই এই প্রাসাদের খ্যাতি সারা পৃথিবীতে। যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি দেখে এবার সত্যিই ফেরার পালা। বেঙ্গালুরুর পাশ দিয়ে যখন পেরচ্ছি সময় রাত 8টা, এখনো প্রায় 9 ঘন্টা নাগাড়ে গাড়ি ছুটিয়ে হায়দ্রাবাদে বাড়িতে যখন থামলাম তখন রাত 4টা।
Comments
Post a Comment