Skip to main content

Posts

Showing posts from March, 2018

উটির টানে

              আবার পাহাড় , আবার জঙ্গল , আবার চাবাগান। এবারের গন্ত ব্য উটি। হায়দ্রাবাদ থেকে সড়ক পরিবহনের মাধ্যমে সোজা উটি। পরিবাহক আমার একমাত্র জামাই তার অতি প্রিয় ডাস্টার (4WD) নিয়ে প্রস্তুত। যাত্রা পথ 860 কিমি।       রাত 8:20 যাত্রা শুরু নাগাড়ে সারা রাত বেঙ্গালুরু , মাইশোর হয়ে সকাল নটা নাগাদ রাস্তাতেই পড়লো বন্দিপুর টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট ও মধুমালাই টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট। খুব আগ্ৰহ নিয়ে ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে গেলেও কিছু হরিণ আর সম্বার ছাড়া নজরে অন্যকিছু পড়েনি। অব শ্য ভেতরে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা ছিলনা।   যাইহোক জঙ্গল ছাড়িয়ে আধঘন্টা পরেই   শুরু হলো উৎরাই , 36 হেয়ার পিন ভেঙ্গে   উপরে উঠে উটি।   চারিদিকের ঘন পাইন , ওক আর ঝাউএর   মন মাতানো জঙ্গল উটিকে প্রকৃতি   সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলেছে। এছাড়া   অবশ্যই আছে থাকে থাকে সাজানো   সবুজে মোড়ানো চাবাগানের পাহাড়।           প্রথম দিন দুপুরে যাওয়া হলো আভালানঞ্চ   স্যাঙচুয়ারী , আভালান্ ঞ্চ লেক , আম্মান মন্দির , কলিফ্লাওয়ার হিলস ইত্যাদি।

এবার হাসতে হবে

।। দীপক কুমার মজুমদার।।   =আপন ভোলা= স্মৃতিরমন চক্রবর্তী । নামটা শোনার পরেই আমার পিসতুতো ভাই কার্তিক কেমন যেন নাক কুচকে বলে উঠলো এ আবার কিরকম নাম!আমিও চেপে ধরলাম, কেন রাধারমন হতে পারে, রমনীমোহন হতে পারে, সারদামোহন হতে পারে তাহলে স্মৃতিরমন কি দোষ করলো শুনি।কার্তিক যেন বাধ্য ছেলের মতো মেনেই নিয়ে বললো বেশ তাই হলো, তারপর বলো সেই স্মৃতিবাবু থুরী স্মৃতিরমনের কথা।হ্যাঁ স্মৃতিবাবুই বটে, সে স্মৃতিবাবু বা স্মৃতিরমন যাই হোক তার স্মৃতি নিয়েই যতো সমস্যা।কেন যে তার বাবা মা ছেলের নাম স্মৃতিরমন রেখেছিলেন তার সদুত্তর কেউ পায়নি। নামের সঙ্গে তার চরিত্রের একদম মিল ছিলনা।কার্তিক বলে উঠলো সে ওরকম অনেকেরই হয়।নারে সে বড় বিচিত্র কাহিনী। এরকম অভিজ্ঞতা খুব কম মানুষেরই ঘটে।নাম স্মৃতিরমন হলেও তার স্মৃতি খুবই দূর্বল । এনিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় নানা বিপদে পড়তে হয়েছে।একদিন রাত্রে ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে বাড়ি ফিরছিলো, জলে কাদায় সব যেন কিরকম গুলিয়ে গেছিলো।নিজের নামটাও বেমালুম ভুলে গিয়ে কোনরকমে বাড়ির গেট পর্যন্ত গিয়ে মনে পরেছে এটাতো স্মৃতিরমনবাবুর বাড়ি । গেটে ধাক্কা দিয়ে জিজ্ঞাসা করলো এটাই কি স্ম

আকালীপুরের কালী

আকালীপুরের কালী তন্ত্র সাধনার স্থান বীরভূম। যুগে যুগে যেমন বহু তান্ত্রিকের আবির্ভাব হয়েছে তেমনি বহু কৃতী পুরুষেরও জন্ম হয়েছে।  মন্ত্র তন্ত্র ও মাকালির উপস্থিতি সারা বীরভূম জুড়েই পাওয়া যায়। রামপুরহাট থেকে ২৫কিমি ও নলহাটী থেকে ৬ কিমি দুরে ভদ্রপুরের পাশে আকালিপুর গ্রাম যেখানে প্রতিষ্ঠত প্রায় ৩০০ বছেরর ঐতিহাসিক দেবী গুহ্যকালিকার মন্দির। ইতিহাস বিক্ষ্যাত ভদ্রপুরের সন্তান মহারাজ নন্দকুমার ভূভারতে একমাত্র এই অপূর্বশৈলীর অষ্টকোনাকৃতি এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।বিক্ষ্যাত এই কালীমূর্ত্তির কাছে কোনো শিবের অবস্থান নেই ও দেবীর অঙ্গে সাপ জড়িয়ে আছে। কিংবদন্তি অনুসারে সর্পাবরণভূষিতা সর্পাসীনা দ্বিভূজা নৃমুন্ডমালিনী এই মূর্ত্তি পুরাণকথিত মগধরাজ জরাসন্ধের আরাধিতা। কালস্রোতে বাহিতা হয়ে পরবর্তী কালে কাশির রাজা চেতসিংহের প্রাসাদে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং পুজিত হতে থাকে। বৃটিশ শাষনকর্তা ওয়ারেন হেসটিংস চেতসিংহের প্রাসাদ লুঠ করার সময় বহু ধনসম্পত্তির সাথে এই মূর্ত্তিটিও লুঠ করে । গঙ্গাযোগে কোলকাতায় আসার পথে তৎকালীন দেওয়ান মহারাজ নন্দকুমার মূর্ত্তিটি উদ্ধার করেন। এরপর ব্রাহ্মণী নদীর তীরে নিজ