।। সধবার একাদশী ।। কাবলিওয়ালার বউ দেখিনি পাঞ্জাবীদের টাক দেখিনি বোরখা পরে তোলা সেলফি দেখিনি নাঙ্গা বাবার কাপড়জামা দেখিনি। গুজরাটেতে মদ চলেনা অরুনাচলে মদের নিষেধ চলেনা নৈনীতালে ফ্যান চলেনা লে লাদাকে রেল চলেনা। আইসক্রীমে বরফ নেই শ্যাওড়া গাছে পেত্নী নেই কৃষ্ণনগরে কৃষ্ণ নেই আজ লাইফ আছে জীবন নেই। ।। রসগোল্লা ।। পান্তোয়া সন্দেশ যতকিছু আনোনা বাংলার রসগোল্লা তার নেই তুলনা। নানাভাবে তোলপাড় কতকিছু ঝামেলা নবীনের নব আবিষ্কার নাম রসগোল্লা। আসল ছানার গোল্লা সেতো হাবুডুবু রসে একটা দুটোয় কারও মন থাকেনা বশে। তাই নিয়ে খুশী ছিলো বাঙ্গালী ও বাংলা সহসা কে ভাগ নিল, কিযে হবে সামলা। উৎকল বাসী কয় বাংলার কেন তব কহ'রে আমরাই দিয়ে থাকি জগন্নাথ আহারে। দল বেঁধে এগিয়েছে বাংলার ময়রা রসগোল্লার দাবী থেকে সরছিনা ভাইরা। রেষারেষি বেড়ে গিয়ে কারও নেই স্বস্তি তরজাটা চলে গেল হাইকোর্ট অবধি। অবশেষে জি আই ট্যাগ হ'লো বাংলারই জন্য জানিনাকো রইলো কি স্বাদটা, নাকি হবে অন্য। ।। ল
ঘুম থেকে উঠে লালমোহন বাবু ওরফে জটায়ু খবরের কাগজটা বাঁহাতে ধরে সবে চায়ের কাপে একটা চুমুক দিয়েছে ওমনি মোবাইলটা বেজে উঠলো। কাগজটা তাড়াতাড়ি সরিয়ে নিয়ে ফোনটা ধরতে গিয়ে খানিকটা চা ছলকে পড়লো। যাইহোক ওধার থেকে এক ধীর স্থির গলা শুনে আরও চমকে উঠলো। ' হ্যালো লালমোহন বাবুতো! ব্যোমকেশ বলছি, কেমন আছেন।' তিন বার কেশে গলা পরিস্কার করে জবাব দেয় ' হ্যাঁ, মানে ভালো আছি, কিছু বলবেন?' 'আরে বলবো আর কি, আপনার খোঁজ পাইনি অনেক দিন তাই ফোন করলাম। এখন তো আপনাদের হাতে তেমন কোন কাজ নেই...।' 'ইয়ে আর কি ফেলুবাবুর শরীরটা বেশ কিছুদিন ঠিক যাচ্ছেনা তাই ঘরেই আছি, আর ইদিকে আমার সাম্প্রতিক রহস্য কাহিনীও শেষ করে প্রেসে দেওয়ার পর একদম ফ্রি।' 'বাঃ, তাহলে আর দ্বিধা কেন চলে আসুন, চুটিয়ে গল্প করা যাবে। আরে অত না ভেবে আজ সন্ধ্যা বেলায় চলে আসুন।' 'অগত্যা' বলে লালমোহন বাবু ফোনটা রেখে দেয়। কিন্তু পরমুহূর্তেই একরাশ চিন্তা নিয়ে ভাবতে থাকে। প্রাত্যহিক কাজকর্ম সারতে একটু দেরি হয়ে গেলো তারপরে ১০টা নগাদ ড্রাইভারকে গাড়িটা