Skip to main content

Posts

Showing posts from May, 2018

এঁচোড়

এঁচোড় গতকাল বিকেলে অফিস থেকে ফেরার সময় মন্টুর গুমটি থেকে একটা কিলোখানেক এঁচোড় কিনে এনেছিলাম। পাড়ার মোড়ে তরিতরকারি বিক্রি করে মন্টু, সঙ্গে ডিম পাঁউরুটিও রাখে।সময় অসময় কাজ চলে যায়। পাশ দিয়ে পেরোতেই ছেলেটা ডেকে বললো,    'ও ঘোষদা এঁচোড়টা নিয়ে যান একদম ফ্রেশ'।    'নারে ভাই এই অবেলায় এঁচোড় নিয়ে গেলে তোর বৌদি রাগারাগি করবে'। বৌদির ওপর অগাধ আস্থা দেখিয়ে বলে     'কি যে বলেন, বৌদি কিছু বলবেন না, বলে দেবেন মন্টু জোর করে দিয়েছে। তাছাড়া একদম টাটকা, কাল কাটবেন তাই ছাড়ালাম না'। এতটা ভরসা দেওয়ার পর আর না বলতে পারলাম না, একটা ক‍্যারি ব‍্যাগে বাড়িতে নিয়েই গেলাম আর তাতেই যতো বিপত্তি।     প্লাস্টিক ব‍্যাগটা ডাইনিং টেবিলে রেখে এক কাপ চা দিতে বললাম। মানসীর কান পর্য্যন্ত‍ না পৌছলেও চোখটা কিন্তু টেবিলের উপরে ঠিকই গেছে।     'এই ভর সন্ধ্যায় এটা আবার কি আনলে'     'না মানে ঐ এঁচোড় , মন্টুর দোকান থেকে, একদম ফ্রেশ জোর করে দিলো, কাল কাটলেও চলবে, কটা চিংড়ি মাছ এনে দেবো দারুন হবে'।     'এ্যঁ…জোর করে দিলে, কাল কাটলেও চলবে, চিংড়ি মাছ এনে দেবো, নোলা দেখো। বলি দশটা দা

হারায়ে খুঁজি

হারিয়ে যাওয়া কয়েকটা শব্দ। দিনের আলোয় ভরদুপুরে খুঁজে বেড়াই, অনেক চেষ্টা করি কিন্তু পাইনা। পুরোনো জিনিস একসময় যা খূব‌ই প্রাসঙ্গিক ছিল একে একে সব হারিয়ে যাচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে আমরা উন্নত হচ্ছি। শারীরিক পরিশ্রম যতটা সম্ভব কমিয়ে এনে যন্ত্র নির্ভর হয়ে উঠেছি। মা ঠাকুমাদের দেখেছি গাদা গাদা মশলা নিয়ে শীলনোড়ায় নিজেরা বা কাজের লোক লাগিয়ে বাঁটতো। রাশি রাশি ডাল বেঁটে বড়ি দেওয়া হ'তো । সেই শীলে বাঁটার রান্নার স্বাদ‌ই আলাদা। এখন এর জায়গা দখল করেছে হয়  মিক্সি নয়তো সুপ্রিয়ার কথামত গুড়ো মশলা। না না এখনকার মহিলাদের কাজ বাড়ানোর জন্য তদ্বির নয়। কেউ যেন ভুল না বোঝে। সেই শীলনোড়া এখন কটা বাঙ্গালীর ঘরেই বা পাওয়া যাবে, যত্তসব বস্তাপচা মানসিকতা। কিছুদিন বাঁটাবাঁটির পর শীলনোড়ায় মসৃণভাব এসে যেতো । আর মোলায়েম ভাবে মশলা বাঁটাই যায়না। মেজপিসি পাঁড়েজিকে বলেন, 'কি পাঁড়েজি শীলনোড়াটার কি হাল হয়েছে, লোক ডেকে কোটাতে পারোনা'! কোলকাতার রাস্তায় অলিগলিতে ভরদুপুরে নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করে সেই শব্দটা ভেসে আসতো     'শীল কোটাও, শীল কোটাও....' । জানলার ভেতর থেকে ওদের শব্দ শুনতে পেলেই ভাকতাম , ভেতরে এ

জেনরেশন গ‍্যাপ (Generation Gap)

জেনরেশন গ‍্যাপ (Generation Gap) টিভিতে দাদাগিরি দেখছিলাম পাশেই ছিল আমাদের নাতনি রুমকি।টিভির এইসব কুইজ প্রোগ্রাম গুলো থেকে আজকাল ছোটবড়, মাঝবয়সী বুড়ো বুড়ি সবারই জ্ঞানের ভান্ডার বেড়ে চলেছে। অনেক প্রশ্ন‌ই টিভির এধার থেকে টপাটপ বলে দিতে পারি। কোনোটা  ঠিক হয় আবার কোনোটা ভুল হয়ে গেলে সরি সরি বল ম্যানেজ করতে হয়। এই টিভি দেখতে দেখতে হঠাৎই রুমকির মোবাইল ফোনটা একবার টুং করেই থেমে গেল।         কিরে ধরলিনা, ফোনটা কেটে গেল তো।         রুমকির উত্তর , কেউ ফোন করে নি ওটা পিং।         মানে?         আরে বাবা মেসেজ এর নোটিফিকেশন তুমি বুঝবেনা।         তা নোটিফিকেশন যখন দেখতে তো হবে।    ঊফ্ বলে বিরক্তি প্রকাশ করে মোবাইল চালু করে দেখল, একটা কিছু দেখে লিখে দিল v nc.         ওটা আবার কি লিখলি v nc এর মানে কি         তোমায় বললাম তো দাদু তুমি বুঝবেনা। V nc মানে হলো very nice.          অ্যাঁ বলিস কিরে! V nc মানে হলো very nice. বাপের জন্মেও এরকম শুনিনি বাপু। মনে মনে ভাবলাম ছেলেবেলায় ইংরেজি নিয়ে আমরাও মজা করতাম যেমন p u t পুট ,  তাহলে b u t বাট কেন হবে। আবার psychology র আগে p কেন , বানান যাতে ভুল না হয়