Skip to main content

বাঁকুড়ার টেরাকোটা

                                                               


বাঁকুড়ার টেরাকোটা পশ্চিমবঙ্গ তথা 
ভারতের শিল্পকর্মের এক বিশেষ স্থান  
অধিকার করে আছে। বাঁকুড়ার 
পোড়ামাটির ঘোড়া ও হাতি নির্মাণের 
প্রধান শিল্প  কেন্দ্র গুলি  হল পাঁচমুড়া,
 রাজাগ্রাম, সোনামুখী ও হামিরপুর।


 প্রত্যেক শিল্পকেন্দ্রের নিজস্ব স্থানীয় ধাঁচ ও 
শৈলী রয়েছে। এগুলির মধ্যে পাঁচমুড়ার 
ঘোড়াগুলিকে চারটি ধাঁচের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম 
বলে মনে করা হয়। বাঁকুড়ার ঘোড়া এক 
ধরনের পোড়ামাটির ঘোড়া। ঘোড়া ছাড়াও
বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী উট , হাতি , গনেশ ,
 নানা ভঙ্গিমায় নৃত্যরত মূর্তি তৈরী করে
 টেরাকোটা আরও সমৃদ্ধ হচ্ছে। 



রাঢ় অঞ্চলে স্থানীয় লৌকিক দেবতা ধর্মঠাকুরের পূজায় টেরাকোটা ও কাঠের ঘোড়া ব্যবহৃত হয়। অনেক গ্রামে বিভিন্ন দেবদেবীর কাছে গ্রামবাসীরা ঘোড়া মানত করে থাকেন। ভারতের বহু গ্রামে পবিত্র অশ্বথ্থ গাছের তলায় পোড়ামাটির পশুর মূর্তি সাজানো থাকতে দেখা যায়। এগুলি গ্রামবাসীদের মনস্কামনা পূর্ণ হওয়ার প্রতীকস্বরূপ।






 এগুলি মূলত গ্রাম্য ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের জন্য 
নির্মিত হলেও, আজকাল সমগ্র বিশ্বেই ভারতীয়
 লোকশিল্পের প্রতীভু হিসেবে গৃহস্থালীতে শোভা পেয়ে 
থাকে। অল ইন্ডিয়া হ্যান্ডিক্র্যাফটস সংস্থার লোগোতেও
 বাঁকুড়ার ঘোড়ার ছবি ব্যবহৃত হয়।

Comments

Popular posts from this blog

আমার ছড়া

      ।। সধবার একাদশী ।।                                    কাবলিওয়ালার ব‌উ দেখিনি পাঞ্জাবীদের টাক দেখিনি বোরখা পরে তোলা সেলফি দেখিনি নাঙ্গা বাবার  কাপড়জামা দেখিনি। গুজরাটেতে মদ চলেনা অরুনাচলে মদের নিষেধ চলেনা নৈনীতালে ফ‍্যান চলেনা লে লাদাকে রেল চলেনা। আইসক্রীমে বরফ নেই শ‍্যাওড়া গাছে পেত্নী নেই কৃষ্ণনগরে কৃষ্ণ নেই আজ লাইফ আছে জীবন নেই।                      ।। রসগোল্লা ।।                             পান্তোয়া সন্দেশ যতকিছু আনোনা বাংলার রসগোল্লা তার নেই তুলনা। নানাভাবে তোলপাড় কতকিছু ঝামেলা নবীনের নব আবিষ্কার নাম রসগোল্লা। আসল ছানার গোল্লা সে...

অপরাজিতা

অপরাজিতা বহু বৈচিত্রে ভরা অপরাজিতা।  দেবী দূর্গার বিভিন্ন রুপের মধ‍্যে আরও একটি রুপ হল  অপরাজিতা। অপরাজিতা কথার অর্থ অপরাজেয় অর্থাৎ যাকে কেউ পরাজিত করতে পারেনা।   মহর্ষি বেদব‍্যাসের বর্ণনা অনুযায়ী অপরাজিতা দেবীকে আদিকাল থেকেই শ্রেষ্ঠ শক্তিদায়িনী রুপে মান‍্যতা দেওয়া হয়েছে। ত্রিদেব অর্থাৎ ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর ছাড়াও অন্যান্য দেবতারা নিয়মিত আরাধনা করেন। বিজয়া দশমী বা দশেহরার সময় শক্তির রুপীনির আর এক প্রতীক হিসেবে কল্পনা করে পুজো করা হয়ে থাকে যাতে জীবনের প্রতিটি যুদ্ধে যেন জয়ী হ‌ওয়া যায়। অপরাজিতা পুজোর পর সেই লতা হাতে ধারণ করার রীতি অনেক স্থানেই চালু আছে। মানুষের বিশ্বাস এই অপরিজিতা রুপে দেবী দূর্গা সমস্ত অধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জয়ী হয়ে ধর্মের পূণঃপ্রতিষ্ঠিত করে। দেবী পূরাণে ও শ্রী শ্রী চন্ডীতে এরকম কাহিনী বর্ণীত হয়েছে।             ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে এই ফুলের আবিষ্কার যার ব‍্যাপ্তি সুদূর আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকা পর্যন্ত। ভারতের মোটামুটি সব স্থান ছাড়াও বিদেশে যেমন ইজিপ্ট, সিরিয়া, মেসো...