Skip to main content

Posts

Showing posts from July, 2018

যাত্রাপালা

আজকের যাত্রাপালা লক্ষণের শক্তিশেল। রামায়নের কাহিনী অবলম্বনে বীর লক্ষণের সাহসীকতার পালা লক্ষণের শক্তিশেল। শ্রেষ্ঠাংশে কোলকাতার বিক্ষ্যাত ইন্দ্রদেব অপেরার বিশিষ্ট অভিনেতা অমল কুমার। আসুন দেখুন এ বছরের শ্রেষ্ঠ যাত্রাপালা লক্ষণের শক্তিশেল। হাওড়ার এক মফস্বলে রাস্তায় রাস্তায় একটা রিক্সায় মাইকে প্রচার করে চলেছে আর গোছা গোছা হ্যান্ডবিল বিলোচ্ছে। অন্য সবাইএর মতো শিবানীর কানেও গেছে , ছুটে রাস্তায় গিয়ে একটা হ্যান্ডবিল জোগার করে নজর পড়ে অমল কুমারের ছবিটার   দিকে। সত্যিই সুন্দর বলিষ্ঠ এক সুদীপ্ত চেহারা। ছবিটা দেখার পর থেকেই শিবানীর মনের ভেতরটা কেমন যেন ছটপট করতে লাগলো , একবার দেখা হলে বেশ হতো।সম্বিৎ ফিরে পেতই দুউর কিযে বোকার মতো ভাবছি। সন্ধে হতেই সেজেগুজে একটু তাড়াতাড়িই পাড়ার আরো দুজন বন্ধু মিলে যাত্রা দেখতে পৌঁছে গেছে। পালা বেশ জমে উঠেছে। দশানন রাবণের সঙ্গে লক্ষণের ভয়ানক যুদ্ধে যতটা না আগ্রহ তার থেকে বেশি নজর অমল কুমারের দিকে। বিভোর হয়ে তাকিয়ে থাকতে থাকতে নিজেকে কখন হারিয়ে ফেলেছে বুঝতেই পারেনি। চাকরির সুত্রে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন চরিত্রের সঙ্গে মুখোমুখি হতে হয়েছে। অনেক মধুর অভিজ্ঞতাও যেম...

ভাঙ্গাহেড়ের দাদু

ভাঙ্গাহেড়ের দাদু জৈষ্ঠ মাসের শেষের দিক প্রচন্ড দাবদাহে সারা বাংলা যেন জ্বলছে । সকাল   দশটা এগারোটার পর আর বেরোনো যাচ্ছেনা , যাবতীয় কাজকর্ম যতটা সম্ভব তার আগেই সেরে ফেলতে হচ্ছে। বৃষ্টির নামগন্ধ নেই জানিনা এই পরিস্থিতি আর কতদিন চলবে। ঘরের বাইরে যেমন কষ্ট ভেতরেও সেই একই অবস্থা । খবরের কাগজে খবর পাই পৃথিবী নাকি দিনদিন গরম হয়ে যাচ্ছে । আজকাল কালবৈশাখীও খুব একটা হয়না , দুএকটা কালবৈশাখী হয়ে গেলে কিছুটা অন্তত স্বস্তি পাই। ‘ চৈত্রের চিতাভষ্ম উড়ায়ে উড়াইয়া জ্বালা পৃথ্বীর.... ‘ কবির মর্মস্পর্শী লেখা এখন শুধু বইএর পাতায় । প্রকৃতি এসব আর দেখেনা। সুকুমার রায়ের “ অবাক জলপানের “ শুরুর কথাগুলো মনে পড়ে যাচ্ছে ‘ না একটু জল না পেলে আর চলছেনা , এখনও প্রায় একঘন্টার পথ বাকি......কিন্তু জল চাই কার কাছে ? গেরস্তের বাড়ি দুপুর রোদে দরজা এঁটে ঘুম দিচ্ছে ..... পথেও তো কোনো লোকজন দেখছিনে । ‘ দুপুরে ভাতটা খেয়ে বডিটা একটু এলিয়ে এইসব সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে কখন চোখ লেগে এসেছে বুঝতেই পারিনি। কলিং বেলের শব্দ শুনে আলপনা দরজা খুলে   গ্রীষ্মের এই ভরুদুপুরে এক অচেনা বৃদ্ধকে দেখে আশ্চর্য্য হয়ে প্রশ্ন করে ‘বলুন,...

মুক্তিযুদ্ধ

মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সাল পূর্ববঙ্গে তখন সবাই উত্তেজনায় টগবগ করছে। একদিকে ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বে পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছে আর অন্যদিকে মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছে। পূর্ববঙ্গের যুবক যুবতী তথা আবালবৃদ্ধবনীতা সবাইকে উদ্বুদ্ধ করে মুজিবুর ভাষণ দিচ্ছে তোমাদের ঘরে যা আছে তাই দিয়েই লড়বা, দরকার হলে হাতা খুন্তি দিয়ে লড়তে হবে। এ লড়াই বাঁচার লড়াই, এ লড়াই আমাদের জিততে হবে। পাকিস্তানের অত্যাচার থেকে দেশকে মুক্ত করতেই হবে। এ লড়াই স্বাধীনতার লড়াই। পাকিস্তান যে শুধু পূর্ববঙ্গের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে তাতো নয় আমাদের দেশ ভারতের বিরুদ্ধেও সমানে আক্রমন করে চলেছে। মুহুর্মুহু ভারতের সেনার ওপরে গোলাবর্ষণ করছে। সেই আক্রমন প্রতিহত করার জন্য আমাদের বীর জোয়ানরাও প্রস্তুত। যোগ্য জবাব দিয়ে পূর্ববঙ্গকে স্বাধীন করতে সার্বিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। যুদ্ধে আহত ও নিহতের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে । দলে দলে শরনার্থী ভারতের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। মুজিবুর রহমানও তখন আত্মগোপন করার জন্য কোলকাতার কোথাও লুকিয়ে আছে। সেখান থেকেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে চলেছে। আমরা বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের মানুষেরা রিতিমতো উত্...